পেঁয়াজ খেলে মুখে অস্বস্তিকর গন্ধ হয়। পেঁয়াজ কাটতে গেলেও চোখ থেকে পানি পড়ে। এ কারণেই রান্নায় বা সালাদে মাঝেমাঝেই পেঁয়াজ বাদ পড়ে। তবে সুস্বাদু রান্না পেঁয়াজ ছাড়া কখনো ভাবাই যায় না।
বর্ষা ঋতুতে পেটের রোগের সমস্যা বেড়ে যায়।এই সময়ে ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে এড়িয়ে চলেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু খাবারেই নয়, শরীরের কথা ভেবে নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া উচিত। পেঁয়াজের আছে অসংখ্য গুণ। জেনে নিন ১০০ গ্রাম পেঁয়াজে কোন উপাদানের পরিমাণ কেমন।
ক্যালোরি : ৫০ গ্রাম
ফ্যাট : ০.১ গ্রাম
সোডিয়াম : ৪ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট : ১১.১ গ্রাম
ডায়েটরি ফাইবার : ১.৬ গ্রাম
শর্করা: ৪.২ গ্রাম
প্রোটিন : ১.২ গ্রাম
ভিটামিন সি : ১১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬: ০.১ মিলিগ্রাম
ফোলেট : ৬ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম : ১৬ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম : ১২৭ মিলিগ্রাম
গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজের মধ্যে থাকা ক্যানসার প্রতিরোধী যৌগগুলো প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
সুষম খাবার বলতে যা বোঝায়, তা সবটাই খাওয়া যায়, তবে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। পেঁয়াজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটা কম। তাই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীরা পেঁয়াজ খেলে খুব একটা সমস্যা না হওয়ার কথা তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং সহজপাচ্য ফাইবারে সমৃদ্ধ পেঁয়াজ গর্ভাবস্থায় খাওয়া যায়। তবে তা রান্না করে খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো। কেননা কাঁচা পেঁয়াজ থেকে রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে, এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তবে কারো পেঁয়াজের সালফার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
Social Plugin