আপনার যেসব কাজ শয়তানকে হতাশ করে

দুশমনের কাজ হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ঘৃণা করা এবং তার ক্ষতি সাধন করা। যে মানুষ শত্রুকে পরাজিত, বিপর্যস্ত ও ঘায়েল করতে পারে না সে অধিক পরিমাণে অকল্যাণ, ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।



তাই বুদ্ধিমান লোকেরা নিজের শত্রুকে চিহ্নিত করে তাকে পরাস্ত করায় আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এ বিষয়টি আমাদের জানা আছে যে, মানবজাতির জন্য শয়তানের চেয়ে বড় শত্রু আর কেউ নেই।

তাই মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, শয়তানের সব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা নষ্ট করে তাকে হতাশা, নিরাশা ও ব্যর্থ করে দেয়া। এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো পালন করলে শয়তান হতাশায় ও নিরাশায় পর্যবসিত হয় ব্যর্থ হয়।


বিসমিল্লাহ্‌ বলা :


হাদিস শরিফে বলা হয়েছে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা বিসমিল্লাহ না বলে শুরু করা হয় সেটাতে বরকত থাকে না। যখন কোন ব্যক্তি বিসমিল্লাহ না বলে কোন কাজ শুরু করে এতে শয়তান খুশি হয়। এমন কাজে সে বিনা বাধায় হস্তক্ষেপ করতে পারে।

ব্যক্তির ক্ষতি সাধন করতে পারে। কিন্তু যখন কোন মানুষ বিসমিল্লাহ্‌ বলে কাজ শুরু করে তখন শয়তান মনমরা হয়ে যায়। তখন শয়তান উক্ত ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারেনা।

হজরত আবুল মালিহ রহ. জনৈক সাহাবি সূত্রে বলেন, আমি জন্তুযানে নবি সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে বসে ছিলাম। হঠাৎ তার বাহন হোঁচট খেলে আমি বললাম, শয়তান ধ্বংস হয়েছে।

তিনি বললেন, এ কথা বলো না যে, শয়তান ধ্বংস হয়েছে। কেননা তুমি এ কথা বললে সে অহংকারে ঘরের মতো বড় আকৃতির হয়ে যাবে ও বলবে, আমার ক্ষমতা হয়েছে। অতএব, বলো, বিসমিল্লাহ্‌।

যখন তুমি বিসমিল্লাহ্‌ বলবে তখন শয়তান হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে মাছির মত হয়ে যাবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৮২)।



আল্লাহকে স্মরণ করা :যে বাড়িতে আল্লাহর নাম সবসময় স্মরণ করা হয় সেই ঘরে শয়তান থাকতে পারে না। একি-ভাবে যে খাওয়ার আগে আল্লাহর নাম নেওয়া হয় সেই খাওয়ায় শয়তান শরিক বা অংশ গ্রহণ করতে পারে না। এ কারণে শয়তান মানুষকে আল্লাহ্‌র কথা ভুলিয়ে রাখতে চায়।

এই চিরশত্রু ইবলিশ শয়তান মানুষের ঘরে বসবাস করতে না পারে এবং মানবজাতির সঙ্গে খাওয়া দাওয়ায় অংশ নিতে না পারে তাই মানুষের জন্য করণীয় হলো, তাদের হৃদয়ে সব সময় আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত রাখা। ঘরে ঢুকার পূর্বে ও খাওয়ার সূচনায় আল্লাহর নাম নিলে বঞ্চনার দরুন শয়তান হতাশ হয়।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া :

শয়তান মানুষকে জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাপ কাজ করায়। মানুষ যখন পাপ কাজ করার পর মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।

এতে শয়তানের উদ্দেশ্য পণ্ড হয়ে যায়। তার কষ্ট বেকার হয়ে পড়ে। তাই পাপ কাজ করার পর যখন মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন তখন শয়তান আপন পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে দেখে অত্যন্ত হতাশ হয়।